সু-স্বাগতম amena™

আমরা উন্নত মানের ডি এম ওয়াটার প্রস্তুত করি

English

আমাদের গল্প

আমরা বিশ্বমানের ডি এম ওয়াটার তৈরি করি

বাংলাদেশে প্রায় ২০ লক্ষ বৈদ্যুতিক রিক্সা (অটো, ইজি বাইক) চলাচল করছে। এইসব রিক্সায় ৪/৫ টি ব্যাটারি থাকে, তাহলে এদের মোট প্রায় ১ কোটি ব্যাটারি। ৪০ লক্ষের বেশি গাড়ি (ট্রাক, বাস, কার…) চলাচল করছে, যেখানে ১/২ টি করে প্রায় ৪০ লক্ষ ব্যাটারি আছে। ৪০ লক্ষের অধিক সোলার (সৌর-বিদ্যুৎ) হোম সিস্টেম আছে। বাসার আই পি এস, মোবাইল নেটওয়ার্ক স্টেশন, জেনারেটরে ব্যাটারি ব্যাবহার হয়। এদের বেশিরভাগ লেড এসিড ব্যাটারি। বাংলাদেশে সব মিলে ২ কোটির বেশি লেড এসিড ব্যাবহার হচ্ছে। আমাদের ব্যাবসার পূর্বে মানহীন ব্যাটারি পানিতে বাজার পূর্ণ ছিল এবং ভোক্তাদের এই পণ্যের বিষয়ে তেমন কোন ধারণা ছিল না। ভোক্তাদের মান সম্পন্ন পণ্য দেওয়া এবং সচেতন করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

আমাদের পণ্য

পণ্যের বৈশিষ্ট্য

টি.ডি.এস

টোটাল ডিসল্ভড সলিড (টিডিএস) < ১ এম.জি/এল,পি.পি.এম

কন্ডাক্টিভিটি

কন্ডাক্টিভিটি < ১μ [এস/সিএম]

পি.এইচ

পি.এইচ ৬.৮ - ৭.০

টি.এস

টোটাল সলিডস (টি.এস) < ১ এম.জি/এল,পি.পি.এম

ইউ ভি

আল্টা ভায়োলেট ট্রিটেট

আমেনা ব্যাটারি পানি

সম্পূর্ণরূপে মিনারেল শুন্য ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত পানি

ডি আই/ ডি এম ওয়াটার হচ্ছে পানি, যেটা সম্পূর্ণ রূপে খনিজ মুক্ত। সাধারন বিশুদ্ধ পানি যা আমরা দৈনন্দিন যেমনঃ- কাপড় ধোঁয়া, গোসল করা, পান করার কাজে ব্যাবহার করি, এই পানিতে খনিজ পদার্থ যেমনঃ- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, বাই-কার্বনেট, আয়রন, জিঙ্ক থাকে। এই সাধারন বিশুদ্ধ পানি স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যাবহার যোগ্য (গোসল করা, কাপড় ধোঁয়া, রান্না সামগ্রী ধোঁয়া) কিন্তু কিছু বিশেষ কাজে আমাদের ডি আই/ ডি এম ওয়াটার প্রয়োজন যেমনঃ- ব্যাটারি এবং রেডিয়েটর। যখন লেড এসিড ব্যাটারি চার্জিং অথবা ডিসচার্জিং এ থাকে তখন ব্যাটারি গরম হয়ে যায়। যার জন্য ব্যাটারি ইলেক্টোলাইটের পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় তাই আমাদের পুনরায় ডি আই/ ডি এম (আমেনা ব্যাটারি পানি) ওয়াটার দিয়ে পূর্ণ করতে হয়। যদি সাধারন পানি ব্যাবহার করা হয় তাহলে পানির খনিজ পদার্থ সমূহ ব্যাটারির প্লেট নষ্ট করে ফেলে। আমেনা ব্যাটারি পানি (ডি এম ওয়াটার) সম্পূর্ণরূপে খনিজ পদার্থ মুক্ত এবং এর ব্যাবহারে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়।

গাড়ির ইঞ্জিনের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা করার জন্য রেডিয়েটরে পানি ব্যাবহার করা হয়, এই কারনে পানি উত্তাপের কারনে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। তাই রেডিয়েটরে খনিজ মুক্ত পানি দিয়ে পূর্ণ করতে হয়। যদি রেডিয়েটরে সাধারন পানি ব্যাবহার করা হয়, তাহলে সাধারন পানির খনিজ পদার্থ রেডিয়েটরের পাইপে জমে বন্ধ করে দেয়। যার জন্য ইঞ্জিন ঠিকমত ঠাণ্ডা হতে পারে না। এখানে কোলেন্ট ব্যাবহার করা হয় পানির বাষ্পীয় তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য। আমেনা ব্যাটারি পানি (ডি এম/ ডি আই ওয়াটার) সম্পূর্ণরূপে খনিজ মুক্ত এবং রেডিয়েটরে আমেনা ব্যাটারি পানি ব্যাবহারের ফলে রেডিয়েটরের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়।

লেড এসিড ব্যাটারির পরিচর্যা

ব্যাটারি একটি ইলেক্ট্রোক্যমিক্যাল ডিভাইস বা বৈদ্যুতিক স্টোরেজ সেল। ব্যাটারিতে ক্যমিকেল শক্তি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ব্যাটারিতে ক্যমিকেল সমূহ জমা থাকে। সার্কিটে পজেটিভ এবং নেগেটিভ টার্মিনাল সংযুক্ত করা হলে ব্যাটারির অভ্যন্তরে সীসা ও সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ইলেকট্রনের প্রবাহ বা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। লেড এসিড ব্যাটারিতে মূলত তিনটি অংশ থাকে ১। এনোড ২। ক্যাথোড ৩। ইলেক্ট্রোলাইট

এনোড (Pb):- ইহার উপাদান নরম ও স্পঞ্জি সীসা বা লিড (Pb)। এনোডের সীসা প্লেট আকারে স্তরে স্তরে সাজানো ও নেগেটিভ টার্মিনালে সংযুক্ত থাকে।

ক্যাথোড (PbO2):- ইহার উপাদান লিড-পারঅক্সাইড (PbO2) বা শঙ্করসীসা, যা এনোডে ব্যবহৃত সীসার চেয়ে শক্ত। ক্যাথোডও প্লেট আকারে সাজানো থাকে ও ব্যাটারির পজেটিভ টার্মিনালে সংযুক্ত থাকে।

ইলেক্ট্রোলাইট (3H2O + H2SO4):- ইহা পানি ও সালফিউরিক এসিডের ৩ : ১ মাত্রার দ্রবণ। ইলেক্ট্রোলাইট এনোডের সাথে বিক্রিয়া করে নেগেটিভ এবং ক্যাথোডের সাথে বিক্রিয়া করে পজেটিভ আয়ন তৈরি করে।

এনোড, ক্যাথোড এবং ইলেক্ট্রোলাইট এর রাসায়নিক বিক্রিয়া নিন্মরূপঃ

Pb + PbO2 + H2SO4 <---> 2PbSO4 + 2H2O

ব্যাটারি যখন সার্কিটের লোডে সংযুক্ত করা হয় তখন ইলেক্ট্রোলাইটের সালফিউরিক এসিড সীসার সহিত বিক্রিয়ায় এনোড হতে নেগেটিভ এবং ক্যাথোড হতে পজেটিভ উৎপন্ন চার্জ (আয়ন) এর প্রবাহ শুরু হয়। এই চার্জ উৎপাদনের সময় ইলেক্ট্রোলাইটের সালফিউরিক এসিড সালফেটে রুপান্তর হয়ে এনোড এবং ক্যথোডের গায়ে জড়াতে থাকে। এভাবে সালফেট জড়াতে জড়াতে এনোড এবং ক্যাথোড এর বহির্ভাগ সালফেটের আবরণে যখন সম্পূর্ণ ঢেকে যায় তখন এনোড ও ক্যাথোড হতে আর চার্জ উৎপন্ন হতে পারে না। ব্যাটারির এই অবস্থাকে ব্যাটারির ডিসচার্জ অবস্থা বলা হয়। আবার যখন ব্যাটারি রিচার্জ করা হয় তখন এনোড এবং ক্যথোড এর গায়ে জড়ানো সালফেট ভেঙ্গে সালফিউরিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে এনোডের সীসা এবং ক্যথোডের শঙ্কর সীসার উপর জমে থাকা সালফেটের আবরণ সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে এনোড এবং ক্যথোড পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়। ইলেক্ট্রোলাইট এর মান ও রিচার্জ পক্রিয়া সঠিক থাকলে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব সম্পূর্ণ অটুট থাকে।

ব্যাটারিতে পানির ব্যবহারঃ- ব্যাটারি চালু থাকার সময়ে তাপজনিত কারনে ইলেক্ট্রোলাইটে পানির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। এই কমে যাওয়া পানি আবার পূরণ করতে হয়। এই পানি হতে হবে সম্পূর্ণরূপে এসিড ও খনিজ শূন্য। কখনই মিনারেল যুক্ত পানি পুনঃভরন করা ঠিক নয়। কারন ব্যাটারিতে এসিডের পরিমাণ কখনই হ্রাস পায় না, এসিড সালফেটে রূপান্তরিত হয়। রিচার্জিং এ সালফেট পূর্ণ মাত্রায় ভাঙ্গিয়া এসিডে রূপান্তরিত হলেই ব্যাটারি পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়। উল্লেখ্য ইলেক্ট্রোলাইটের এসিডে রূপান্তরিত সালফেট রিচার্জং এ অপসারিত হয় কিন্তু পানিতে যদি খনিজ পদার্থ মিস্ত্রিত থাকে তবে সেই খনিজ পদার্থের বর্জ্য অপসারিত হয় না।

ব্যাটারি পানির বিশুদ্ধতাঃ- পানি মানে H2O । এই H2O হচ্ছে ডিস্টিল্ড ওয়াটার বা ডিমিনারালাইজড ওয়াটার। সাধারণ পানি যা আমরা পান করি বা বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজে ব্যবহার করি তাতে প্রচুর পরিমানে খনিজ পদার্থ যেমন- এমোনিয়া, এন্টিমনি, আর্সেনিক, ক্যালসিয়াম, ক্লোরাইড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি মিস্ত্রিত থাকে। এই খনিজ পদার্থ ব্যাটারিতে ইলেক্ট্রোলাইট এর মান নষ্ট করে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব হ্রাস করে। সুতরাং ব্যাটারিতে পানি ব্যবহারে সচেতন হউন। খনিজ শূন্য পানি ব্যবিহার করে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব অটুট রাখুন।

পানিতে খনিজ পদার্থ দ্রবীভূত আছে কিনা তা TDS (Total Dissolved Solid) মিটারে মাপা যায়। ব্যাটারি পানির TDS মান (০-৫)mg/L এর মধ্যে রাখা উচিৎ।

আমেনা ডি এম ওয়াটার ২ জন অভিজ্ঞ স্নাতক প্রকৌশলীর সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ৭ টি স্তরে নিউক্লিয়ার মিডিয়া ব্যবহার করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণরূপে খনিজ শুন্য ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ডিমিনারেলাইজড পানি উৎপাদন করছে। যা বুয়েট পরীক্ষিত।

সাধারণ প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা

  • ডি এম/ ডি আই ওয়াটার মুলত পানিই, যার মধ্যে কোন খনিজ পদার্থ নাই।

  • ডিমিনারেলাইজড পানি পান করা যায়। অল্প পরিমাণে খেলে ক্ষতি নাই। কিন্তু সবসময় পান করলে শরীরে প্রয়োজন মত মিনারেল এর অভাব হবে। তাই না খাওয়াই ভালো। তবে মাঝে মধ্যে ডাক্তাররা ডিমিনারেলাইজড পানিতে স্যালাইন গুলে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে (বিশেষ ক্ষেত্রে)।

  • সম্পূর্ণরূপে খনিজ মুক্ত হবার কারনে এই পানি অনেক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়। যেমন লেড এসিড ব্যাটারি, রেডিয়েটর, খাদ্য ও পানিও তৈরিতে, ঔষধ এবং প্রসাধনী তৈরিতে,। এগুলা ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।

  • সাধারনত ১-১০ পিপিএম (এম জি/এল)।

আমরা ক'জন

আমরা শুধু দল নই.... আমরা পরিবার

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আক্কাছ আলী

চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী
(বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)

মোঃ আতিয়ার আলী শুভ্র

পরিচালক বি.এসসি (EEE)

আশিক আলী শান্ত

পরিচালক (তথ্য প্রযুক্তি)

amena™

আমেনা একটি উদ্যোগী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠিত হয় মান সম্পন্ন পণ্য প্রদানের উদ্দেশে। ভোক্তা সন্তুষ্টি আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।

৬৬৯/৫ সরকারী গোরস্থান মোড়, শিক্ষকপল্লী
কিশোরগঞ্জ, ঢাকা - ২৩০০

amenakhg@gmail.com

+৮৮০১৭৫৬১০৩৫০৮

অপেক্ষা করুন
আপনার বার্তাটি পাঠানো হয়েছে, ধন্যবাদ।